ডুবেছে কক্সবাজার, পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোয়ও বন্যার শঙ্কা
দিনাজপুর টিভি ডেস্ক
আপলোড সময় :
১৪-০৯-২০২৪ ১১:৪১:৪৫ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় :
১২-১০-২০২৪ ০৮:৪৩:৩৯ অপরাহ্ন
মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে গত দুই দিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে কক্সবাজারে। শুক্রবার বেলা ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে সেখানে।
এতে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। এছাড়া পানিবন্দি হয়ে পড়েছে টেকনাফ ও উখিয়ায় অন্তত ১০০ গ্রামের মানুষ।এদিকে আজ আবহাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়েছে, বরিশাল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত স্থল নিম্নচাপটি সামান্য উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আজ সকাল ৬টায় যশোর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
টানা বৃষ্টির কারণে ফেনী, চট্টগ্রাম ও সিলেটের বিভিন্ন জেলায় এবার স্বল্পমেয়াদি বন্যার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।পূর্বাভাস বলছে, ফেনী, চট্টগ্রাম ও সিলেট এলাকার উজানে ভারতীয় অংশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। অনেকটা গত আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে শুরু হওয়া বৃষ্টির মতো। এতে বাংলাদেশের ভেতরে দক্ষিণ এবং পূর্বাঞ্চলজুড়ে একই ধরনের ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ফলে জেলাগুলোর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।শুক্রবার থেকে দেশের পূর্বাঞ্চলের জেলা সিলেট, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার ও বান্দরবানের নিম্নাঞ্চলে আকস্মিক পানির ঢল নামতে থাকে। ফলে ওই এলাকাগুলোর নিম্নাঞ্চলও প্লাবিত হয়।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, বৃষ্টির কারণে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিলস্না, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের সব জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। এসব এলাকায় কয়েক দিনের জন্য বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
উল্লেখ্য, সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ১ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে হালকা, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি, ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি ধরনের ভারী, ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে ভারী এবং ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হলে তাকে বলা হয়ে থাকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dinajpur TV
কমেন্ট বক্স